শনিবারের চিঠি ১৯২৪
আবির্ভাব
২৬শে জুলাই ১৯২৪ বা ১০ই শ্রাবণ ১৩৩১-এ সাপ্তাহিক পত্রিকারূপে আত্মপ্রকাশ করে ‘শনিবারের চিঠি'। পরে ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের ৯ই ভাদ্র নবপর্যায়ে মাসিক পত্রিকারূপে প্রকাশিত হয়।
সম্পাদক পরিচিতি
‘শনিবারের চিঠি'র সম্পাদক হলেন নীরদ চন্দ্র চৌধুরী। পত্রিকার প্রকৃত পরিচালক সজনীকান্ত এবং মোহিতলাল মজুমদার হলেন তাত্ত্বিক নেতা ও গুরু।
পত্রিকার লক্ষ্য
কোন সিরিয়াস আদর্শ ছিল না, সাহিত্যের শুচিতা রক্ষার নামে সাহিত্যিকদের বিশেষ করে তরুণদের উদ্দেশ্যে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের বাণ নিক্ষেপ করাই পত্রিকার মূল লক্ষ্য।
অবদান/গুরুত্ব
‘শনিবারের চিঠি'র মূল শক্তি বিরুদ্ধতা। নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, চিত্তরজ্বন দাস এবং তরুণ সাহিত্যিকদের কোন কোন সংখ্যায় তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। আবেগ প্রবণতা, হুজুগপ্রিয়তা ইত্যাদি অভ্যাসগুলিকে ছাপিয়ে বাঙালি কুৎসা প্রবণতার দিকে নজর দেন। তাই কুৎসা প্রবণতার পণ্যকে পুঁজি করে শনিবারের চিঠি কালের সমুদ্রে পাড়ি দিতে চেষ্টা করে এবং অনেকখানি সফলও হয়।
পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যায় পত্রিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে পত্রিকার প্রবন্ধক অশোক চট্টোপাধ্যায় লেখেন—উপায়ের ক্ষেত্রে আমরা মুগুরকে হাতছড়ির উপরে জায়গা দেয়, চাবুককে চাপড়ের চেয়ে বড় বলেই ধরব।” ‘শনিবারের চিঠি’ তার সমগ্র জীবনে চাপড় ও চাবুককেই প্রাধান্য দিয়েছিল এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে “কেবল চাপড় নয়, কাতুকুতু বা সুড়সুড়ি দেওয়ার প্রবণতাকেই প্রাধান্য দিয়েছিল”। সুতরাং নানা প্রতিকূল ও অনুকূল অবস্থা এবং সংগ্রামকে অতিক্রম করে সজনীকান্তের যোগ্য সম্পাদনায় ‘শনিবারের চিঠি’ বাংলাদেশের সংবাদ সাময়িক পত্রের জগতে নিজস্ব আসন পাকা করে।